ওয়ালটন পণ্য কিস্তিতে কেনার নিয়ম 2022




ওয়ালটন হচ্ছে বাংলাদেশের সব থেকে বড় ইলেকট্রনিক্স ব্রান্ড। ১৯৭৭ সালে এসএম নজরুল ইসলাম ওয়ালটন প্রতিষ্ঠা করেন।  তখন এটা ছিল একটি ইস্পাত শিল্প ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।


  পরে 2000 সালে ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোবাইল জগতে প্রবেশ করে। 








বর্তমানে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর এয়ার কন্ডিশনার টেলিভিশন কম্প্রেসর মোবাইল ল্যাপটপ ট্রিমার সহ অসংখ্য এলেক্ট্রনিকস প্রডাক্ট তৈরি করে থাকে। 




ওয়ালটন দেশের চাহিদা পূরণ করে বাহিরে ও তাদের পণ্য রপ্তানি করতেছে।  







ওয়ালটনের সদর দপ্তর ঢাকার বীমা ভবন এর তৃতীয় তলায়।  ওয়ালটনের ফ্যাক্টরিটি হচ্ছে গাজীপুরের চন্দ্রা তে অবস্থিত।  ওয়ালটন ফ্যাক্টরিতে ২৫ হাজারের থেকে বেশি কর্মী রয়েছে।  






বর্তমানে ওয়ালটনের চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভী যিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন।  






ওয়ালটনের প্রতিটা উপজেলায় শোরুম রয়েছে যেখান থেকে আপনি ওয়ালটনের সকল প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন।  








আপনি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে ফ্রিজ ল্যাপটপ টিভি মোবাইল সহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট কিস্তিতে পেয়ে যাবেন।  






তাছাড়া ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধা নিতে পারবেন।  






 আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিস্তিতে কিনতে চান তাহলে প্রথমে আপনার কিছু ওয়ালটনের শর্ত ওর ডকুমেন্ট বিষয়ক তথ্য জানা প্রয়োজন। 

কারণ ওয়ালটন আপনাকে কিছু শর্তের ভিতরে পণ্য প্রদান করবে।  






আসুন জেনে নেই ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে পণ্য কেনার শর্ত ও ডকুমেন্ট বিষয়ক তথ্য গুলি কি:-






আপনি যদি ওয়ালটনের প্রোডাক্ট কিস্তিতে কিনতে চান তাহলে আপনাকে প্রোডাক্ট এর মূল্যের 30 থেকে 40 শতাংশ সর্বনিম্ন ডাউন পেমেন্ট করতে হবে।





আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। 





আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে আপনার দুই কপি ছবি জমা দিতে হবে।  






আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে আপনার দুইজন জামিনদার বা গ্যারান্টার লাগবে।  






আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে আপনার জামিনদারের আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। 





আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান জামিনদারের প্রত্যেকের দুই কপি ছবি জমা দিতে হবে






 আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে আপনার জামিনদারদের অবশ্যই কর্মজীবী হতে হবে অর্থাৎ চাকরিজীবী দুজনকে আপনার জামিনদার বানাতে হবে।  





আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিস্তিতে কিনতে চান এবং আপনার জামিনদার যদি সরকারি চাকরিজীবী ব্যাংকার বা শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়ে থাকে তাহলে আপনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পণ্য পাবেন। 







আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিস্তিতে চান তাহলে কিস্তিতে কেনার জন্য সার্ভিস চার্জ হিসেবে 200 টাকা দিতে হবে।






আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনতে চান এবং আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা পাবেন।


আপনি যদি ওয়ালটন থেকে যদি ল্যাপটপ ডেক্সটপ ক্রয় করতে চান তাহলে তাদেরকে ১২ মাসের জন্য কোন সুদ দিতে হবে না।






 একই অফার শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য।






শিক্ষক-শিক্ষার্থী বাদে অন্যান্য সবাই জিরো পার্সেন্ট সুদে ছয় মাসের কিস্তিতে কিনতে পারবে দশ মাস পর্যন্ত তাদের এমআরপি + 8 পার্সেন্ট সুদ দিতে হবে 24 মাস পর্যন্ত হাইয়ার ভ্যালু প্লাস ১৬% সুদ দিতে হবে।








আপনি জানলেন কিস্তিতে ওয়ালটনের পণ্য নেয়ার শর্ত ও ডকুমেন্ট সম্পর্কে। 

এবার আপনি দুজন জামিনদার নিয়ে আপনার নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুমে যোগাযোগ করুন।  







আপনি যদি পণ্য কেনার আগে বাসায় বসে কিছু জানতে চান যেমন কিস্তি সম্পর্কিত তথ্য বিষয় তাহলে বিস্তারিত জানতে সরাসরি ওয়ালটনের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন।






ওয়াল্টনের হেল্প লাইন নাম্বার হচ্ছে 16267।





এছাড়া আপনি তাদের ফেসবুক পেজ এ যোগাযোগ করতে পারবেন।  




আপনি ফেসবুকে গিয়ে ওয়ালটন লিখে সার্চ দিন।




ওয়ালটন এর ভেরিফাই ফেইসবুক পেজ পেয়ে যাবেন।




ফেসবুক পেজে ঢুকে মেসেজ অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি ম্যাসেঞ্জারে নিয়ে যাওয়া হবে।

এবার আপনার জানা জানা প্রয়োজন আপনি জিজ্ঞেস করতে পারবেন।


Post a Comment

Previous Post Next Post