স্বামী স্ত্রী হচ্ছে একে অপরের পরিপূরক। বিবাহের মাধ্যমে তারা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আবির্ভূত হন। বিবাহ হচ্ছে একজন নারী ও পুরুষের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপনের সামাজিক ও ধর্মীয় চুক্তি। বিবাহ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
একটি দম্পতি বিবাহের মাধ্যমে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একে অপরের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। তারা জীবনের বেশিরভাগ সময় একসাথে থাকে। তাই স্বল্প সময়ের এই জীবনে সঙ্গীর সাথে মধুর সম্পর্ক রেখে জীবনটা শেষ করা সাফল্যের।
আজকে আমরা জানবো কিভাবে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা সুন্দর পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে জীবনটা সুন্দর করে শেষ করা যাবে সে সম্পর্কে–
প্রথমেই বলি, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয় টুকটাক কথার অমিল,কথার অমিল থেকে সামান্য ঝগড়া সামান্য ঝগড়া থেকেই মধুর সম্পর্ক টা খারাপ হতে শুরু করে একে অপরের শত্রু মনে হয়,একজনের কথা অন্যজনের কাছে বিষের মত লাগা শুরু হয়। বিবাদ অশান্তি তে মধুর সংসার টা পরিনত হয় বিষাদের এক অগ্নিকুপে।
তাই আপনি আপনার সঙ্গীর কথাকে গুরুত্ব দিবেন কথার কাজের অমিল হলে সাথে সাথে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলতে হবে। মনের ভিতর রাখা যাবে না। মনে রাখবেন মনের ভিতরে কোনকিছু লুকালে সেটা কখনোই সমস্যার সমাধান করবে না বরঞ্চ সমস্যাগুলি বড় করবে।
আপনাকে আপনার সঙ্গীর ইচ্ছা অনিচ্ছা কে গুরুত্ব দিতে হবে। তাকে সম্মান করতে হবে। একজন আরেকজনের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। তার পছন্দ অপছন্দ গুলি আপনার বুঝতে হবে। তাকে তার মতো করে বোঝার চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব। সব কথার প্রতিউত্তর না দিয়ে আপনার সঙ্গী কি বলতে চায় তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য টি বুঝার চেষ্টা করবেন। নেতিবাচক ওভারথিংকিং পরিহার করতে হবে।
আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন। হা বেশি কথা অতিরিক্ত কথা যাকে বলে আরকি! আপনার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যাবে এমন কথা! আপনার ছোট বেলার বন্ধুদের কথা ভাবুন তো একবার তারা আপনার খুব ভালো বন্ধু ছিল কারণ আপনি আপনার সমস্যা তাদেরকে বলতেন,আপনার দুর্বলতা তারা জানত আপনি তাদের দুর্বলতা জানতেন এইজন্যই তারা আপনার ভালো বন্ধু ছিল। আপনার বর্তমান বন্ধু সেও কিন্তু আপনার কাছে অনেক কিছুই শেয়ার করে আপনিও করেন সে যেমন আপনার দুর্বলতা জানে আপনিও তার দুর্বলতা জানেন। ঠিক এই কারণেই আপনাদের মাঝে এত সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ঠিক এভাবেই আপনি যদি আপনার সমস্যা,পছন্দ,অপছন্দ,শক্তি,দুর্ বলতা,কষ্ট আপনার সঙ্গীকে শেয়ার করেন, আপনি যদি তার আচরণে কষ্টপান সাথে সাথে তাকে বলুন সম্পর্ক টা বন্ধুর মতো করুন,আপনারা স্বামী/স্ত্রী না,বন্ধু হয়ে থাকবেন।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকটাই বিশ্বাসের সাথে জড়িত। একবার যদি বিশ্বাস ভেঙ্গে যায় তাহলে সম্পর্কটা নষ্ট হতে থাকবে। তাই স্বামী স্ত্রীর বিশ্বাসের যায়গাটা পাকাপোক্ত করে নিতে হয়। আর এ বিশ্বাসের জায়গাটা একপাক্ষিক টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। আপনাকেও তাকে বিশ্বাস করতে হবে,আপনার উপর তার বিশ্বাস থাকতে হবে। অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবন হওয়া যাবে না।
সবশেষে বলবো যদি আপনার স্বামী/স্ত্রীর সম্পর্কে কিছুটা ফাটল ধরে,শত চেষ্টা করেও আপনি সমাধান করতে পারেননি। তাহলে আপনাদের সমস্যাগুলি মা বাবা বা অতি আপনজন কারও সাথে শেয়র করুন। হয়তো সমাধান হতেও পারে। আপনার অতি আপনজন ছাড়া অন্য কোন তৃতীয় পক্ষেকে কখনোই এ ব্যাপারে বলবেন না। মনে রাখবেন একটি সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ শুধু ঝামেলাই আনতে পারে।
Tags:
LIFESTYLE